তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার উপকারিতা

 

তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। যেহেতু তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে সেহেতু এই তেলাপিয়া মাছ খেলে যে সব উপকারিতা পাওয়া যায় সেই বিষয় গুলো আমাদের অবশ্যই জেনে রাখা উচিত।

তেলাপিয়া-মাছ-খাওয়ার-উপকারিতা

আপনি যদি তেলাপিয়া মাছের উপকারিতা আমাদের শরীরের জন্য কতটুকু এটা জানতে চান এবং এর সকল গুনাগুন সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যয় এই পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়বেন। আশা করি আপনার অনেক উপকারে আসবে। 

সূচীপত্রঃ তেলাপিয়া মাছের উপকার গুলো জানুন

তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার উপকারিতা

তেলাপিয়া মাছের উপকারিতা অনেক রয়েছে। এই মাছটিকে খাদ্যাভ্যাসে পরিণত করলে বা খাদ্যের তালকায় অন্তরভুক্ত করলে শরীরের অনেক উপকারে আসবে এবং স্বাস্থ্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এবং আমাদের শরীর ও   কে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থেকে রক্ষা করবে। তেলাপিয়া মাছের প্রোটিন অনেক তাই এই মাছটিকে প্রোটিনের উৎস বললেও চলে।

এই মাছটি থেকে আমরা উচ্চ প্রোটিন পেয়ে থাকি। যা আমাদের দেহের মাংসপেশি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাছাড়া এই মাছ পেশিকে মেরামত ও পেশির পুনর্গঠনেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রোটিন আমাদের শরীরের পেশি বৃদ্ধি ও শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে এর ফলে আমাদের দেহের মাংশপেশি ও টিস্যু ভালো থাকে।

তেলাপিয়া মাছ খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় তার মধ্যে হলো এটি একটি ওজন নিয়ন্ত্রনকারী ও সুস্বাস্থ্যকর একটি খাবার। যা আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রনে অনেক সাহায্য করে থাকে। এর মধ্যে কম ক্যালোরি ও চর্বি থাকায় এটি ওজন কমাতে এবং মোটা হওয়া থেকে বাঁচাতে সহায়তা করে থাকে। এই মাছটি শরীরে শক্তি প্রদান করে থাকে এবং বেশি সময় ধরে তৃপ্তি অনুভব করাতে সহায়তা করে থাকে। 

তেলাপিয়া মাছের গুনাগুন

তেলাপিয়া মাছের গুনাগুন সম্পর্কে জেনে রাখতে হবে। তেলাপিয়া মাছের যত গুন রয়েছে তার মধ্যে নিচে দেওয়া হলোঃ 

১। হৃদরোগের প্রবণতা কমায়-

তেলাপিয়া মাছে কম ক্যালোরি ও চর্বি থাকায় এটি হৃদরোগের জন্য অনেক উপকারী। চর্বি ও ক্যালোরি কম আছে বলে এই মাছ খেলে হৃদরোগের প্রবণতা কমিয়ে থাকে।

২। হজমে সহায়তা করে-

তেলাপিয়া মাছ সহজে হজমযোগ্য হওয়ায় এটি খুব সহজে হজম হয় এবং হজমের অনেক সমস্যা কমিয়ে থাকে। এবং পেটেরও অনেক সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। 

৩। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে-

তেলাপিয়া মাছ অনেক পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। এটিতে পটাশিয়াম থাকে বলে এই মাছ রক্তচাপ কমাতে    অনেক সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ কমার পাশাপাশি এটি সোডিয়ামের প্রভাবও কমিয়ে থাকে। 

৪। বয়সজনিত পরিবর্তন ও ত্বক এর জন্য উপকারী-

তেলাপিয়া মাছের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে। যার ফলে এটি ত্বকের পরিবর্তন অর্থাৎ বয়স জনিত যে ত্বকের পরিবর্তন টা হয়ে থাকে সেটি কমাতে অনেক সহায়তা করে। এবং ত্বক উন্নত করতে সাহায্য করে। 

৫। মস্তিষ্ক ভালো রাখে-

তেলাপিয়া মাছে ভিটামিন বি১২ বিদ্যমান থাকায় এটি মস্তিস্কের কার্য ক্ষমতা বাড়াতে অনেক সাহায্য করে থাকে। এটি মস্তিস্কের স্বাস্থ্য উন্নত করে থাকে। এবং এটি মনোযোগী ও স্মৃতিশক্তি বাড়াতে অনেক সহায়তা করে থাকে।

তেলাপিয়া মাছ যেভাবে খাওয়া উচিৎ

তেলাপিয়া মাছ অনেক ধরনের পদ্ধতিতে খাওয়া যেতে পারে। যা অনেক সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়। এর মধ্যে অন্যতম হলো গ্রীল করে খাওয়া। যাতে তেলাপিয়া মাছের গুনাগুন সঠিকভাবে পাওয়া যায়। যা তৈরি করার পদ্ধতি অনেক সহজ এবং এটি অনেক স্বাস্থ্যকর। এই পদ্ধতিতে রান্না করতে তেল কম লাগে যার ফলে এই মাছের প্রাকৃতিক স্বাদ বজায় থাকে। এটি গ্রীল প্যানে রান্না করতে হেব এবং ৪-৫ মিনিট গ্রীল করলেই ভালো ও সুস্বাদু হবে। 

তেলাপিয়া মাছের যত গুন এগুলো পাওয়ার আরেক্তটি মাধ্যম তেলাপিয়া মাছ ভেজে খাওয়া। এই মাছ ভেজে খেলেও অনেক সাশ্রয়ী এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। এর ফলে কম খরচে মাছটি ভালো করে খাওয়া যায়। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে মাছটি খাওয়া উপযোগী করলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করা যায়। তেলাপিয়া মাছটির তরকারি হিসেবে রান্না করলে অনেক সুস্বাদু করে ভাতের সাথে খাওয়া যায়। এবং তা খেয়েও অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায়।

আরও পড়ুনঃ বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট

বিশেষজ্ঞদের মতে তেলাপিয়া মাছ খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় এর মধ্যে যদি স্যুপ করে খাওয়া হয় তাহলে উপকারে আসবে। এটি আমাদের দেহের জন্য স্বাস্থ্যকর। স্যুপ তৈরি করার সময় এটির সাথে অনেক প্রকারের সবজি ও সোডিয়াম কম ব্যাবহার করা হলে, এটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। বেকড বা বেকিং পদ্ধতিতে রান্না করলে অনেক উপকারে আসবে। কারণ এটি খুবই কম পরিমাণে তেল ব্যবহার করা হয় এবং এতে পুষ্টির পরিমাণ বজায় থাকে।

তেলাপিয়া মাছে যেসব ভিটামিন পাওয়া যায়

তেলাপিয়া মাছ একটি ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি মাছ। এই মাছের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বিদ্যমান। এবং তেলাপিয়া মাছের গুনাগুন এর মধ্যে অবশ্যয় এই মাছের ভিটামিনের অবদান অপরিসীম। তেলাপিয়া মাছ খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় এর মধ্যে এর ভিটামিন এর অন্যতম। এই মাছের ভিটামিন গুলো হলোঃ 

ভিটামিন ডি-

হাড়ে ক্যালসিয়াম শোষণ উন্নত করে থাকে এবং হাড়ের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। এছাড়া এটি দেহের যে ইমিউন সিস্টেম রয়েছে সেটিকে সমর্থন করে থাকে।

ভিটামিন বি৩-

চর্বি, প্রোটিন, এবং কার্বোহাইড্রেটের মেটাবলিজমে অনেক সাহায্য করে থাকে এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের  জন্য বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ভিটামিন বি৫-

ভিটামিন বি৫ আমাদের শরীরের এনার্জি উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে এবং মেটাবলিজমেও সহায়তা করে থাকে। তাছাড়া হরমন উৎপাদনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। 

ভিটামিন বি৬-

প্রোটিন এবং গ্লুকোজের মেটাবলিজমে অনেক সাহায্য করে থাকে। এটি নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক।

ভিটামিন বি১২-

স্নায়ুতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং রক্ত স্বল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে থাকে। এটি নিউরন ফাংশনীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং কোষের জন্ম বা কোষ বৃদ্ধি করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আরও পড়ুনঃ বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট

তেলাপিয়া মাছ চাষের সুবিধা

তেলাপিয়া মাছ চাষের অনেক সুবিধা রয়েছে। এবং এই মাছ অনেক সহজে চাষযোগ্য বলেই এই মাছ অনেক চাষ হয়ে থাকে। তেলাপিয়া মাছের যত গুন রয়েছে তার মধ্যে এটিও একটি যে এই মাছটি দ্রুত বৃদ্ধি হয় অর্থাৎ এর বৃদ্ধির হার অনেক বেশি। এই মাছটি অনেক দ্রুত বৃদ্ধি হয়ে থাকে সাধারণত এটি ৬ থেকে ৮ মাসেই বাজারজাত করার জন্য উপযুক্ত হয়ে যায়। এতে এর চাষকারীরা অনেক সহজে ও দ্রুতই লাভবান হয়ে থাকে।

তেলাপিয়া-মাছের-যত-গুন

এই মাছটি বিভিন্ন ধরনের জলবায়ুতে চাষের জন্য উপযোগী। উষ্ণ জলবায়ুতেও এই মাছ ভালো চাষ করা যায়। এবং ঠান্ডা জলবায়ুতেও এটি চাষ করার খুব ভালো একটি সময়। উষ্ণ জলবায়ুতে চাষকৃত তেলাপিয়া মাছ গুলোর চাহিদা বাজারে অনেক বেশি থাকে। এই সময় সাধারণত তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর মধ্যে থাকায় এটি খুব ভালো উৎপাদন হয়ে থাকে।

এই মাছ চাষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো পরিবেশ। এই মাছটি যেহেতু সকল পরিবেশে চাষ উপযোগী তার জন্য এই মাছ চাষে অনেক লাভ হয়ে থাকে। উষ্ণ পরিবেশে এই মাছটির অনেক ফলন হয়ে থাকে। আর এই উষ্ণ জলবায়ু একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে তাই এই সময়ে চাষ করা খুব ভাল হয় এবং মাছের মান উন্নত করে থাকে।

তেলাপিয়া মাছ কোথায় বেশি পাওয়া যায়?

তেলাপিয়া মাছ দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। এর চাষ সারা বিশ্বে করা হয়ে থাকে। অনেকে প্রশ্ন করে থাকে যে তেলাপিয়া মাছ কি জান্নাতি মাছ ? এখানে বলাযায় যে এটি জান্নাতি মাছ নয়। তবে এই মাছ ইসলামের শরীয়তে হালাল। এই মাছটি এশিয়া মহাদেশের মধ্যে বেশি চাষ হয়ে থাকে। যেমনঃ বাংলাদেশ, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, মিশর সহ আরও অনেক দেশেই এই মাছটি চাষ করে থাকে। 

আরও পড়ুনঃ বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট

এই মাছ সহজে চাষ করা যায় বলে দেশ বিদেশে এর অনেক চাষের প্রচলন আছে। আমাদের দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশের অনেক স্থানে এর চাষ প্রচুর পরিমাণে করা হয়ে থাকে। এবং উৎপাদন ও খুব ভালো হয়। বাংলাদেশে পুকুর, বিল, ডোবা ইত্যাদি জায়গায় ব্যাপকভাবে এর চাষ করা হয়। বাংলাদেশের অনেক জেলাতে এই মাছের চাষ করা হয়। এই মাছ অনেক চাষ হয় বলে স্থানীয়  বাজার গুলোতে এটি খুব সহজে পাওয়া যায়। এবং এর ফলে মানুষও এটি খুব আগ্রহে কিনে থাকে।

ভারতে এই মাছ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, আসামের মতো রাজ্যে এই মাছ অনেক চাষ করা হয়ে থাকে। চীনে এই মাছ অনেক চাষ করা হয়ে থাকে এবং বিশ্বব্যাপী এগুলো রপ্তানিও করা হয়। তেলাপিয়া মাছের বড় উৎপাদক হলো থাইল্যান্ড। থাইলান্ডেও মাছ চাষের প্রথা অনেক প্রচলিত। মিশরে তেলাপিয়া মাছ অনেক জনপ্রিয়। মিশরের নদীনালা ও জলাশয়ে তেলা পিয়া মাছ অনেক পরিমাণে পাওয়া যায়।

স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য তেলাপিয়া মাছের গুণাবলি

তেলাপিয়া মাছ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি। অনেকে জানতে চায় গর্ভাবস্থায় তেলাপিয়া মাছ খাওয়া যাবে কি ? এখানে বলা যেতে পারে এই সময় তেলাপিয়া মাছ খেলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার উপকারিতা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার হয়ে থাকে। এই মাছের স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক কম থাকায় এটি হৃদরোগের ঝুঁকি ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেক সহায়তা করে থাকে। তেলাপিয়া মাছে তুলনামূলক ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড কম থাকে।

এই মাছে সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক কম  থাকে, প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। তেলাপিয়া মাছ খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় এর মধ্যে সেলেনিয়াম থাকে তা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা আমাদের দেহের কোষকে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ও বজায় রাখতে অনেক সাহায্য করে থাকে। এই মাছের গুনাগুন আমাদের দেহের অনেক উপকার করে থাকে।

তেলাপিয়া মাছেরর মধ্যে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস অর্থাৎ ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ও বিদ্যমান। যা আমাদের দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অনেক সহয়তা করে থাকে। এবং রক্ত স্বল্পতা প্রতিরোধ করে। তেলাপিয়া মাছের তুলনামূলক গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে  সাহায্য করে থাকে। এই সকল ধরনের গুনাবলির জন্য তেলাপিয়া মাছকে একটি স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বিবেচিত করা হয়।

আরও পড়ুনঃ বিভিন্ন ধরনের পোষ্ট

তেলাপিয়া মাছ খেতে হলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার উপকারিতা থাকলেও এই মাছ খেয়ে হলে আমাদের সকলের বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। যাতে এই মাছ আমাদের দেহের জন্য উপকার অর্থাৎ কোনো ক্ষতি বয়ে না নিয়ে আসে। সর্বপ্রথমে আমাদের এই মাছটি তাজা কিনা সেটি নির্বাচন করে কিনতে হবে। তেলাপিয়া মাছটি কেনার সময় গন্ধ করছে কিনা সেটি ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে। এর মধ্যে হালকা স্বাভাবিক মাছের গন্ধ থাকবে। অতিরিক্ত থাকালে না নেওয়া ভালো।

তেলাপিয়া-মাছের-গুনাগুন

তেলাপিয়া মাছ নেওয়ার ক্ষেত্রে মাছের চোখ পরীক্ষা করে নিতে হবে। তাজা মাছের ক্ষেত্রে চোখ চকচকে ও পরিষ্কার হতে হবে তাহলে ভালো মানের মাছ নির্বাচন করতে পারা যাবে। আর যদি মাছের চোখ ধূসর হয় তাহলে ওই মাছ তাজা নয় এটা সংকেত দেয়। আর তাজা মাছ হলে এর শরীর চকচকে এবং মসৃণ থাকে। কুঁচকে যাওয়া বা শুকনো ত্বক মাছটি তাজা নয় এটাই বতার লক্ষণ।

তেলাপিয়া মাছ ভালোভাবে পরিষ্কার করে রান্না করতে হবে। যাতে এটি খাওয়া উপযোগী ও নিরাপদ থাকে। এই মাছ অন্তত ৬৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রান্না করা উচিত, যার ফলে মাছের মধ্যে থাকা সব ব্যাকটেরিয়া মরে যাবে। মাছ কেনার আগে মাছের উৎস অবশ্যয় আমাদের জেনে নিতে হবে। অর্থাৎ এটি ভালো এবং বিশ্বস্ত বাজার থেকে এসেছে কিনা তা আমাদের নিশ্চিত  হতে হবে।

তেলাপিয়া মাছের কি কোনো অপকারিতা রয়েছে?

তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার উপকারিতা যেমন আছে, কিন্তু এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে। এখানে অনেকের প্রশ্ন থাকে যে তেলাপিয়া মাছে কি এলার্জি আছে ? বা তেলাপিয়া মাছ খেলে কি ক্যান্সার হয় ? ইত্যাদি । পারদ বা অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ এই তেলাপিয়া মাছের সাথে থাকতে পারে। যদি এই মাছ দূষিত জলাশয়ে চাষ করা হয়ে থাকে তাহলে এরকম পদার্থ এর সাথে থাকতে পারে। এই ধরনের পদার্থ গুলো আমাদের দেহের জন্য ক্ষতিকর তাই এই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

তেলাপিয়া মাছ খেলে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায় তার মধ্যে চর্বির পরিমাণ কম থাকে। কম হলেও কিছু অংশে এর পরিমাণ বেশিও থাকে। তাই রান্নার সময় কম তেল ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া কারো যদি মাছে এলার্জি থাকে তাহলে তাকে মাছ না খাওয়ায় ভালো। কোনো ক্ষেত্রে তেলাপিয়া মাছের চাষ নিম্নমানের হতে পারে। যার ফলে এন্টিবায়োটিক বা রাসায়নিক অতিরিক্ত ব্যবহার  করলে মাছের পুষ্টি ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা কমে যায়। 

এটিকে একক পুষ্টির উৎস হিসেবে না ধরে এটিকে একটি সুষম খদ্যের অংশ হিসেবে ধরা উচিত। তাছাড়া অতিরিক্ত মাছ খেলে সকল ধরনের পুষ্টির যে ভারসাম্যতা রয়েছে সেটি বজায় থাকবে না। তেলাপিয়া মাছ খেলে কি রোগ হয় ? এই কথা অনেকে জিজ্ঞেস করে থাকে এর উত্তর হলো এটি খেলে তেমন কোনো রোগ হয় না।কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় তেলাপিয়া মাছ অভ্যন্তরীণ পরজীবী সংক্রমণের শিকার হয়। যা ভালোভাবে রান্না করলে এই ঝুঁকি কমানো যায় ও সতর্ক থাকা উচিত। 

শেষকথা

তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার উপকারিতা, এই বিষয় নিয়ে  উক্ত পোস্টিতে আলোচনা করেছি। এই তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার উপকারিতার দিক আলোচনা করতে গিয়ে এর কিছু অপকার ও এর আরও বিষয় গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি। এই সকল বিষয় গুলো লক্ষ্য করে তেলাপিয়া মাছ খাওয়া দরকার।

আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। এবং এরকম  আরও তথ্যপূর্ণ পোষ্ট বা আর্টিকেল পড়তে চাইলে এই ওয়েবসাইটটি ফলো করতে পারেন। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম এস আই 17 ব্লগ এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url